স্বীকৃতি বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার
ক্ষুধা ও দারিদ্র পীড়িত অমানিশার অন্ধকারে নিমজ্জিত জাতি ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সমবেত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এক নদী রক্তের বিনিময়ে, লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মহান স্বাধীনতা। তাই ‘স্বাধীনতার চেতনা’ আমাদের হৃদয়ে ধারন করতে হবে এবং ছড়িয়ে দিতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার।
পুলিশ প্রধান বলেন, স্বাধীনতা আমাদের অন্যতম চালিকাশক্তি। একে মূলমন্ত্র হিসাবে ধরে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
আইজিপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সু্যোগ্য তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের পথে ধাবমান। সমগ্র বিশ্বকে তাক লাগিয়ে বাংলাদেশ ‘ম্যাজিক’ হিসাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
“চেতনায় স্বাধীনতা”- ম্যুরালটির মূল উপজীব্য মাস্তুলসহ একটি নৌকার প্রতিচ্ছবি যা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনার প্রতীক।বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের৮ টি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক পৃথকভাবে ৮ টি ফলকে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। নৌকার মাস্তুলের বাম দিকের চারটি ফলকে ৫২,৫৪,৫৬ ও ৬২ সালের৷ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহাসিক ঘটনা এবং ডান দিকের চারটি ফলকে ৬৬,৬৯,৭০ ও৭১ সালের উল্লেখযোগ্য ঘটনা বিধৃত হয়েছে পোড়ামাটির তৈরি শিল্পকর্মের নান্দনিকতায়।
মাস্তুলের উপরিভাগের পটভূমিতে রয়েছে একটি উদীয়মান লাল সূর্য, লাল সূর্যের বুকে রয়েছে বাংলাদেশের সোনালি মানচিত্র। আর মানচিত্রের সম্মূখে আছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধুর চার সহযোদ্ধা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ, শহীদ ক্যাপ্টন এএইচএম কামরুজ্জামান- এর আবক্ষ ভাস্কর্য।
এ সময় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজিপি গণসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারসহ গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গ গাজীপুর প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :