সিরাজগঞ্জ থেকে ফারুক আহমেদঃ
জানা গেছে, এ উপজেলায় মোট ১১ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নিধারন করা হয়েছিল। রায়গঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফরিদুল ইসলাম এই প্রতিনিধিকে জানান, এবার যদিও উপজেলার কথাও কথাও জলাব্ধতার কারণে অনেক কৃষকেরা আমনের আবাদ করতে পারেনাই তারপরও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক আমন ধান উৎপাদিত হয়েছে। বাজারে ধানের দামও অনেক বেশি। বিভিন্ন হাট বাজারে বর্তমানে ১১শ থেকে ১৫ শ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি হচ্ছে। ধানের দামের পর খড়ের দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা।
গত আমন মৌসুমের চেয়ে এবার ইরি – বোরো লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ চাষআবাদ হবে বলে তিনি ধারনা করেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ কৃষি নির্ভরশীল দেশ, কৃষকরা এদেশের মেরুদন্ড। তাই কৃষক ভালো থাকলেও কৃষি অফিস ভালো থাকে। করোনা ভাইরাসের কারণে আমন চাষ নিয়ে কিছুটা শস্কা থাকলেও তা আমনের বাম্পার ফলনের মধ্যে দিয়ে কেটে গেছে। আবার মৌসুমে শুরুতেই যে খড়ের দাম তার চেয়ে বর্তমানে ধানের সাথে পাল্লা দিয়ে খড়ের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৯শ থেকে ১১শ টাকা দরে তা বিক্রি হচ্ছে।
ধানের পর খড়ের দামও ভালো পাওয়ায় কৃষকরা খুশি। এ ব্যাপারে কৃষক ইদ্রিস আলী জানান, ধানের ফলন যায় তাই হক না কেন এবার গো- খাদ্য খড় বিক্রি করে কোন মতো চালানসহ পিঠ বাঁচায়াছি। বর্তমানে গো – খাদ্যর হিসেবে খড়ের বিকল্প নেই। খড়ের অনেকটা অগ্নিমূল্যের কারণে অনেকেই তাদের কাছ থেকে জমিতেই খড়ের মূল্যে সুরূপ জমির মালিকে কামলার দাম দিয়ে কেটে নিয়েছে।
আবার কেহ কেহ জমির ধান বাড়িতে আনার পরে বাড়ির উপর থেকেই ক্রয় করেছে। ক্রয়কৃত খড়গুলো কেউ ভ্যান বোঝাই করে কেউবা ভটভট আবার কেউ ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার বাইরেও অনেক ব্যবসায়ীক ভাবে এই খড় ক্রয় করেছে। বিঘাপ্রতি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা আবার আটি ভেদে বিঘাপ্রতি পাঁচ হাজার টাকায় এই খড় বিক্রি করছে। এক বিঘাতে এক হাজারটি আটি খড় হয়ে থাকে। ধানের পর খড়ের ভালো দাম পেয়ে তারা বেশ খুশি। ইতিমধ্যে যারা ব্যবসায়ীক ভাবে খড় ক্রয় করে বান্দায় হিসেবে মজুদ করেছিল তারা এখুন চোড়া দামে খড় বিক্রি করছে। উপসহকারী কৃষিবিদ আব্দুল হাই এই প্রতিনিধিকে জানান, সামনে ইরি – বোরোর মৌসুম ইরি – বোরো আসলে খড়রের এই চাহিদা এতো আর থাবেনা।
ফারুক আহমেদ
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
তাং-৩১/১২/২০ইং
০১৭৮৯৪৮৪২৪০
আপনার মতামত লিখুন :