সিরাজগঞ্জ (সলঙ্গা) ফারুক আহমেদঃ
এভাবে ঘন কুয়াশা চলতে থাকলে বীজতলাগুলো কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হবে বলে কৃষিবিদরা ধারণা করেছেন। সিরাজগঞ্জের ৪টি উপজেলায় প্রতিবছর প্রায় পৌনে ৪ লাখ হেক্টর জমিতে ইরি – বোরো ধানের আবাদ হয়ে থাকে। এই পরিমান জমি চাষ করতে প্রায় ৯ হাজার হেক্টর বীজতলার চারার প্রয়োজন হয়। কিন্ত আসন্ন ইরি – বোরো আবাদের জন্য তিনটি উপজেলায় এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৪২০ হেক্টর বীজতলায় বীজ বপন করা হয়েছে। এর মধ্যে রায়গঞ্জ উপজেলায় ৮৭০ হেক্টর, তাড়াশ উপজেলায় ৫১২ হেক্টর, উল্লাপাড়া উপজেলায় ৭০১ হেক্টর, শাহজাদপর উপজেলায় ৬৭০ হেক্টর। তবে স্থানীয় কৃষি অফিস বলছে, এখন বীজতলার ইরি – বোরো বীজ বপনের ভরা মৌসুমে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বীজতলার বীজ বপনের চাহিদা পূরুণ হবে।
সলঙ্গা আমশড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক এই প্রতিনিধিকে বলেন, আমার পাঁচ কাঠা বীজ তলা আছে, ছয় থেকে সাতদিন যাবৎ শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে বীজ তলা প্রায় সাদা হাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আবারাও যদি ১৭ ও ১৮ তারিখে হালকা বৃষ্টিপাত শৈত্যপ্রবাহ, ঘন কুয়াশায় রবিশস্যসহ আমার বোরো বীজ একেবারে নষ্ট হয়ে যাবে। প্রতি বছর কিছু না কিছু ইরি – বোরো বীজের চারা বাজারে বিক্রি করে থাকি। এবার ইরি – বোরো বীজ দিয়ে আমারি চাহিদা পূরুণ হবে না। কি ভাবে এবার আমি অন্যের চাহিদা পূরুণ করবো।
রায়গঞ্জ উপজেরার কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঠান্ডাজনিত কারণে ইরি – বোরোর বীজতলা ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আদর্শ বীজতলার ক্ষতির সম্ভাবনা খুবই কম। আদর্শ বীজতলা তৈরি করতে বীজতলা এক দশমিক ২৫ মিটার প্রশস্ত করতে হবে। প্রয়োজনে বীজতলাগুলো চারদিকে নালা রাখতে হবে। পানি সেচ ও নিস্কাশনের সুবিধা রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, বেশি ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশা সকাল বেলা বীজতলা সেচ দিয়ে বিকেলে পানি বের করে দিতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনে কীটনাশক ব্যবহার করা লাগতে পারে।
ফারুক আহমেদ
সলঙ্গা/সিরাজগঞ্জ
তাং-১৬/১২/২০ইং
০১৭৮৯৪৮৪২৪০
আপনার মতামত লিখুন :