ইমন ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশে সারাবছরই মধুর চাষ হয়ে থাকে, তবে শীতকালে সবচেয়ে বেশি মধু উৎপাদিত হয়ে থাকে। কারণ শীতের দিনে ফসলের মাঠ গুলো সরিষা ফুলে ফুলে ভড়ে থাকে। বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ, পাবনা, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া জেলাগুলোতে সবচেয়ে বেশি সরিষার আবাদ হয়ে থাকে।যে কারণে ওইসব অঞ্চল গুলোতে সবচেয়ে বেশি মধুর চাষ হয়ে থাকে।
মধু খুবই উপকারী একটি মহা ঔষধ। মধু খেতে বেশ মিষ্টি। মধু মানুষের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সময়ের সাথে সাথে মধুর চাহিদাও বাড়ছে।একটা সময় মধুর চাহিদা পূরণে প্রাকৃতিক উপায়ে আহরিত মধুর উপরে নির্ভর থাকতে হতো,যা যথেষ্ট পরিমাণে ছিল না।
বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে অন্যান্য উন্নয়নের পাশাপাশি মধু চাষেও এসেছে যান্ত্রিকতার ছোঁয়া। সার্বিক মধুর চাহিদা মেটাতে বর্তমান বাংলাদেশে বানিজ্যিক ভিত্তিতে মধুর চাষ হচ্ছে।এতে করে একদিকে যেমন মধুর চাহিদা পূরণ হচ্ছে, সেই সাথে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।যা সত্যি অভাবনীয় সাফল্য।
বানিজ্যিক ভিত্তিতে মধু চাষের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত জনবল বা কৃষক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ মৌমাছি খুবই ভয়ানক একটি প্রাণী। মৌমাছি অতি ক্ষুদ্র হলেও এর হুলে রয়েছে ভয়ানক টক্সিক বিষ।যে বিষের প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
বাংলাদেশে বর্তমান অসংখ্য কৃষক মধু চাষকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।শীতকালে যে সব অঞ্চলে সরিষার চাষ বেশি,মধু চাষীরা সেই সকল অঞ্চলে গিয়ে মধু আহরণ করে।এই পদ্ধতিতে মধু চাষীরা ছোট ছোট বাক্স মৌচাক হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। সত্যি শীতের সময়টাতে প্রকৃতিতে মধুর মৌ মৌ গন্ধে চারিপাশ ভড়ে ওঠে।
আপনার মতামত লিখুন :