স্বীকৃতি বিশ্বাস যশোর প্রতিনিধি।
সবকিছুই এখন বিলুপ্ত হতে চলেছে। সময় ও অর্থের সাশ্রয় এবং এবং ঝামেলামুক্ত থাকতেই লোকজন এখন গরুর গাড়ি হালের বলদের পরিবর্তে মাঠে ঘাটে ও রাস্তায় নামিয়েছে সাইকেল,মটর সাইকেল,পাওয়ার ট্রিলারসহ ইঞ্জিন চালিত যান্ত্রিক যান। গরু চরানোর উন্মুক্ত জায়গার অভাব, গো খাদ্যের সংকট ও অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি,কৃষিকাজে নিয়োজিত শ্রমিকের মজুরী বৃদ্ধির কারনে গৃহস্থরা আর চায় না অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে। সময় ও অর্থের সাশ্রয়ের জন্য কৃষকরাও আজকের এই অাধুনিকতার ছোঁয়ায় অাকৃষ্ট। ধন্যাঢ্যসহ সাধারন কৃষকদের দেখতে পাওয়া যায় পাওয়ার ট্রিলার ও পাওয়ার টিলারের নানা বিধ ব্যবহার।একটি পাওয়ার টিলারের ইঞ্জিন ব্যবহার করে জমি চাষ,ধান মাড়াই, ধান ভাঙানোসহ নানাবিধ কাজ করতে দেখা যায়।
তবে,গরু দিয়ে হালচাষের প্রথা বিলুপ্ত হতে চললেও এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন যশোর সদর ও অাশেপাশে কয়েকটি গ্রামের কৃষকরা।অার তাই এখনও দেখতে পাওয়া যায় যশোরের পার্শ্ববতী গ্রামে নবান্নের উৎসবকে রাঙিয়ে তুলতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরুর লড়াইয়ের।
যশোর সদরের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায় কয়েকজন কৃষক এই যান্ত্রিক যুগেওজমিতে হালচাষ দিয়ে ফসল ফলাচ্ছেন। তারা বলেন বাপদাদার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এখনও নিজেদের গরু লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ দিচ্ছেন ফসল করার জন্য।
আধুনিকতার ছোয়ায় অধিকাংশ কৃষক ও কৃষিকাজের সাথে সম্পৃক্ত জনেরা যখন স্রোতের তালে গা ভাসাতে ব্যস্ত তখন যশোরের কৃষকদের এই ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা সত্যি প্রশংসনীয়।
আপনার মতামত লিখুন :